জাহিদ হাসান স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে গ্রামে বসবাস করত। কিন্তু গ্রামে আয়ের ভাল ব্যবস্থা না থাকায় কাজের সন্ধানে শহরে যায় এবং রিকশা চালিয়ে সংসার চালায়। তিনি যা আয় করেন তা দ্বারা সংসারের সকলের খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন এবং বাসার পাশেই সরকারি প্রাইমারী স্কুল থাকায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়াও করান। কিন্তু কম আয়ের কারণে স্ত্রী-সন্তানদের প্রয়োজনমত কাপড়-চোপড় কিনে দিতে পারেন না, অসুস্থ হলে চিকিৎসা করাতে পারেন না এবং অবসর সময় কাটানোর জন্য একটি টিভিও কিনে দিতে পারেন না। তবে বস্তি এলাকায় বসবাস করলেও ঘরে থাকতে তাদের খুব একটি অসুবিধা হয় না।
ফারজানা হক পরিবারের একমাত্র সন্তান। মা-বাবা কাজের প্রয়োজনে বাইরে গেলে সে বাসায় একাকী থাকে। খেলার সাথি পায় না। এই একাকীত্ব তাকে অসুস্থ করে তোলে। তার মধ্যে একধরনের ভ্রান্তি বা ব্যক্তিত্বের অস্বাভাবিকতা তৈরি হয়। সে বড় হলেও সবার সাথে মিলেমিশে চলতে পারে না । তাই তার মা-বাবা তার জন্য বড়ই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।
সবুর মিয়ার তিন মেয়ে। বড় মেয়েটিকে পনের বছর বয়সে বেকার রফিকের কাছে বিয়ে দেন। বিয়ের সময় বরকে একটি মোটরসাইকেল ও এক লক্ষ টাকা দেওয়ার চুক্তি হয়। ধার করে এক লক্ষ টাকা পরিশোধ করলেও মোটরসাইকেল দিতে পারেননি। তাই তার স্বামী বিভিন্ন সময় মেয়েটির উপর নির্যাতন চালায়। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে এক সময় মেয়েটি জীবন দিল।
জহিরুল ইসলাম একজন সমাজসেবা অফিসার। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কতগুলো লক্ষ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্য নিযুক্ত হলেন। লক্ষ্যগুলি হলো- দরিদ্রদের স্বকর্মসংস্থানের জন্য সুদমুক্ত ঋণদান, বস্তিবাসীদের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, বিপন্ন পরিবেশে বসবাসরত শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির মান উন্নয়ন, স্থানান্তরিতদের নিজ বাড়ীতে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধকরণ এবং স্থানীয় নেতৃত্বের বিকাশ সাধন।
সাব্বির একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্ম বিষয়ের উপর সম্মান কোর্সে অধ্যয়ন করছে। তাকে তার শ্রেণি শিক্ষক পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কোনো একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করেন এবং কিছু পরামর্শ দেন যা তাকে তার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য অবশ্যই পালন করতে হবে।
পরামর্শগুলো হলো— সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাদরে গ্রহণ করবে,
ক্লায়েন্টদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, ক্লায়েন্টদের সাথে সু-সম্পর্ক স্থাপন করবে,
ক্লায়েন্টদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করবে না।
এবং ক্লায়েন্টদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ করবে না